ফেসবুক বা টুইটারে যা শেয়ার করবেন না

দিনে একবার হলেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুঁ মারে না এমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া ভার। এ মাধ্যমে প্রকাশ করা বা শেয়ার করা ছোট্ট একটা তথ্যও হুমকির মুখে ফেলতে পারে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত জীবন। তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কোন কোন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা উচিত নয়।
পূর্ণ জন্মতারিখ
ফেসবুক, টুইটারসহ সব সামাজিক যোগাযো
গমাধ্যমেই জন্মতারিখ, মাস ও সাল দেওয়া বাধ্যতামূলক। ভুয়া তারিখ ব্যবহার করাও নীতিবিরোধী। তবে পূর্ণ জন্মতারিখের ব্যবহার আপনাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তথ্য চোরেরা আপনার জন্মতারিখ ব্যবহার করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যেও প্রবেশ করতে পারে। তাই পূর্ণ জন্মতারিখ লুকিয়ে রাখতে পারেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ‘অনলি মি’ সুবিধা ব্যবহার করে।
আপনার অবস্থান
ব্যক্তিগত ক্ষোভ কিংবা ভিন্ন কোনো স্বার্থে আপনাকে কেউ অনুসরণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা আপনার অবস্থান থেকে অনেকেই জেনে নিতে পারে আপনি কোথায় আছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় অবস্থান দেখানো বন্ধ করা ছাড়াও হরহামেশা আপনি কোথায় আছেন তা শেয়ার না করাই ভালো।
আপনার ঠিকানা
ফেসবুক বা টুইটার কিংবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার বাসার ঠিকানা পুরোপুরি উল্লেখ করবেন না। খুব প্রয়োজনে জেলা কিংবা বিভাগের নাম উল্লেখ করতে পারেন। যেমন গুলশান আপনার বাসা হলে ঠিকানায় শুধু ঢাকা-ই উল্লেখ করা ভালো।
আপনার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর
শুধু ফোন নম্বর ব্যবহার করেই অনলাইনে থাকা বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নিতে পারে হ্যাকাররা। তাই সামাজিক মাধ্যমে কোনো ফোন নম্বর শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। একান্ত প্রয়োজনে ফোন নম্বর ব্যবহার করতে হলে তা লুকিয়ে রাখুন।
ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা
বন্ধু কিংবা পরিবারের সঙ্গে কোথাও অবসর কাটাতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? সেই পরিকল্পনা ফেসবুক কিংবা টুইটারসহ কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার না করাই ভালো। আপনার পরিকল্পনা জেনে আগাম ক্ষতির পরিকল্পনাও করে নিতে পারে ডিজিটাল দুষ্কৃতকারীরা।
আপনার কর্মজীবনের বিস্তারিত তথ্য
অনেকেই কর্মস্থলের প্রয়োজনের বেশি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন। কর্মস্থলের খুব বেশি তথ্য ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করা উচিত নয়।
শাওন খান, সূত্র: গ্যাজেটস নাউ

Post a Comment

Previous Post Next Post