যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গত মাসের শুরুর দিকে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপারস সম্মেলনে (ডব্লিউডব্লিউডিসি) আইওএসের নতুন সংস্করণ ১১-এর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ঠিক সেদিন থেকেই আইফোন ব্যবহারকারীরা বেশ উৎসুক হয়ে আছেন তাঁদের ফোনে নতুন সংস্করণটি ব্যবহার করার জন্য। অ্যাপল কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে সেরাটা দিতে চূড়ান্তভাবে আইওএস উন্মুক্ত করার আগে নতুন একটি বেটা সংস্করণ ছেড়ে পরখ করে নিচ্ছে। আর সেটি আপাতত তা শুধু ডেভেলপারদের জন্য।
![]() |
ios 11 |
নতুন এই বেটা সংস্করণ ‘বেটা ৪’ ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডেভেলপার হতে হবে। তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ অ্যাপলের পাবলিক বেটা প্রোগ্রামও রয়েছে। যেখানে ডেভেলপারদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বেটা সংস্করণ সাধারণদের জন্য কয়েক দিন পর ছাড়া হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—নিত্যদিনের ব্যবহার্য আইফোনে এই বেটা সংস্করণ ইনস্টল না করার জন্য। কারণ কখনোই কেউ চাইবে না নিজের ফোন অকেজো হওয়ার ঝুঁকি নিতে।
আপনি যদি আইওএস ১১ পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে আইফোন বা আইপ্যাডের সেটিংস অ্যাপ থেকে হালনাগাদ করে নেওয়া যাবে। আর ম্যাকওএস হাই সিয়েরা, ওয়াচওএস ৪ এবং টিভিওএস ১১-এর বেটা সংস্করণের জন্যও গত সোমবার হালনাগাদ ছাড়া হয়েছে।
আইওএসের নতুন সংস্করণে থাকবে বেশ কিছু পরিবর্তন, থাকবে বেশ কিছু নতুন সুবিধা। আইপ্যাডে আইওএস ১১ আরও বেশি উপভোগ্য হবে। মনে হবে আপনি যেন নতুন একটি যন্ত্রই ব্যবহার করছেন। যেখানে কোনো ফাইল বা অ্যাপ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে টেনে নিয়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় ছেড়ে দিলেই হবে। অ্যাপ বা ফাইল আরও সহজে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য থাকবে একটি ডক, একটি অ্যাপ সুইচার এবং একটি ফাইল অ্যাপ। আর আইফোনে থাকবে সম্পূর্ণ নতুন করে সাজানো কন্ট্রোল সেন্টার বা নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র। শর্টকার্টকে ইচ্ছামতো সাজানোর সুবিধাসহ থাকবে ছোট-বড় বেশ কিছু পরিবর্তন।
প্রতিবছরের রীতিই যদি অ্যাপল অনুসরণ করে থাকে তাহলে নতুন হালনাগাদের জন্য প্রযুক্তিপ্রেমীদের আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ